রামমোহন রায় ও
বাংলা গদ্য চর্চা
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
ও উত্তর
সংকলন ও সম্পাদনা
অধ্যাপক ড. পরিতোষ
মাহাত
প্রশ্ন - ‘Morning Star of Reformation’ কাকে বলা হয়?
উত্তর – রাজা রামমোহন রায়কে।
প্রশ্ন – রামমোহন রায়ের জন্ম কত সালে?
উত্তর – ১৭৭৪ (মতান্তরে
১৭৭২) খ্রিস্টাব্দে রামমোহন রায় জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন – রামমোহন
রায় ‘সম্বাদ কৌমুদী’ কবে প্রকাশ করেন?
উত্তর – ১৮২১ খ্রিস্টাব্দে
ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাপ্তাহিক ‘সম্বাদ কৌমুদী’ প্রকাশ করেন।
প্রশ্ন – রামমোহন
‘আত্মীয়সভা’ কবে প্রতিষ্ঠা করেন? পরে এই সভার কী নাম হয়?
উত্তর – ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে।
পরে ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে এই সভার নাম হয় ‘ব্রাহ্মসমাজ’।
প্রশ্ন – সতীদাহ
নিবারণ আইন কার প্রচেষ্টায়, কবে প্রণয়ন করা হয়?
উত্তর – রামমোহন
রায়ের প্রচেষ্টায় ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দের ৪ ডিসেম্বর সতীদাহ নিবারণ আইন প্রণয়ন করা হয়।
প্রশ্ন – রামমোহন
ফারসি ভাষায় কোন সংবাদপত্র প্রকাশ করেন?
উত্তর – ‘মীরাৎ-উল-আখবর’
(১৮২২)।
প্রশ্ন – রামমোহন
রায়ের কৌলিক পদবী কী ছিল?
উত্তর – বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রশ্ন – রামমোহন
‘রায়’ উপাধি কিভাবে পেয়েছিলেন?
উত্তর – রামমোহনের
প্রপিতামহ কৃষ্ণচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আমলে মুর্শিদাবাদের নবাবের
অধীনে কাজ করতেন। তাঁর কর্মদক্ষতায় সন্তুষ্ট হয়ে নবাব তাঁকে ‘রায়-রামন’ উপাধিতে ভূষিত
করেন। তখন থেকে ঐ বংশের ‘রায়’ উপাধি প্রচলিত হয়।
প্রশ্ন – রামমোহন
কোন কোন ভাষায় সুপণ্ডিত ছিলেন?
উত্তর – সংস্কৃত,
আরবি, ফারসি, উর্দু, হিব্রু, ল্যাটিন, ইংরেজি প্রভৃতি ভাষায় সুপণ্ডিত ছিলেন।
প্রশ্ন – রামমোহন
রায় মোট কতগুলি বাংলা গদ্যগ্রন্থ রচনা করেছেন?
উত্তর – রামমোহন
প্রায় তিরিশটি বাংলা গ্রন্থ রচনা করেছেন।
প্রশ্ন – প্রথম
অ্যাংলো-হিন্দু স্কুল কে, কবে প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর – রামমোহন
রায় ১৮২২ খ্রিস্টাব্দে প্রথম অ্যাংলো-হিন্দু স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রশ্ন – রামমোহন
রায়কে ‘রাজা’ উপাধি কে দিয়েছিলেন?
উত্তর – দিল্লির
বাদশাহ দ্বিতীয় আকবর।
প্রশ্ন – রামমোহন
রায়কে ‘ভারতপথিক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন?
উত্তর – রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুর।
প্রশ্ন – রামমোহনের
দুটি মৌলিক গ্রন্থের নাম ও প্রকাশসাল লেখো।
উত্তর – (১) ব্রহ্মসঙ্গীত
(১৮২৮), (২) গৌড়ীয় ব্যাকরণ (১৮৩৩)।
প্রশ্ন – বাঙালির
লেখা প্রথম বাংলা ব্যাকরণ গ্রন্থের নাম ও প্রকাশসাল লেখো।
উত্তর – রামমোহনের
লেখা ‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’, প্রকাশসাল ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দ।
প্রশ্ন – রামমোহন
যে সমস্ত বেদ-উপনিষদের অনুবাদক করেছিলেন তার কয়েকটি উল্লেখ করো।
উত্তর – (১) বেদান্ত
গ্রন্থ (১৮১৫); (২) বেদান্তসার (১৮১৫); (৩) তলবকার উপনিষৎ (১৮১৬); (৪) ঈশোপনিষৎ (১৮১৬);
(৫) কঠোপনিষৎ (১৮১৭); (৬) মাণ্ডুক্যোপনিষৎ (১৮১৭) ইত্যাদি।
প্রশ্ন – রামমোহন
রায় রচিত কয়েকটি বিতর্কমূলক গ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর - (১) ‘উৎসবানন্দ বিদ্যাবাগীশের সহিত বিচার’
(১৮১৬-১৭),
(২) ‘ভট্টাচার্যের সহিত বিচার’ (১৮১৭),
(৩) ‘সহমরণ বিষয়ক প্রবর্ত্তক ও নিবর্ত্তকের সম্বাদ’
(১৮১৮),
(৪) ‘গোস্বামীর সহিত বিচার’ (১৮১৮),
(৫) ‘কবিতাকারের সহিত বিচার’ (১৮২০),
প্রশ্ন – কাশীনাথ তর্কপঞ্চাননের ‘পাষণ্ডপীড়ন’ পুস্তিকার জবাবে রামমোহন কোন গ্রন্থ
রচনা করেন?
উত্তর – ‘পথ্যপ্রদান’ (১৮২৩)।
প্রশ্ন – “দেওয়ানজী জলের ন্যায় সহজ ভাষায় লিখিতেন।” – কে কার সম্পর্কে এই কথা
বলেছেন?
উত্তর – কবি ঈশ্বর গুপ্ত, রামমোহন রায় সম্পর্কে এই কথাগুলি বলেছেন।
প্রশ্ন – রামমোহন রায়ের রচিত প্রথম গ্রন্থ কোনটি?
উত্তর – রামমোহন রায় রচিত প্রথম গদ্য গ্রন্থ ফারসি ভাষায় রচিত ‘তুহফাৎ-উল-মুওয়াহিদ্দিন’
(১৮০৩-১৮০৪)।
0 মন্তব্যসমূহ