আরও একটা কথা, যারা সায়েন্স বা বিজ্ঞানজাতীয় কিছু পড়েছে, বা পড়ছে,
কিংবা হতে পারে নিজেরা এসব পড়েনি এমন অভিভাবক মানুষজনদের মুখে হামেশাই নেতিবাচক উক্তি
শুনতে আমরা অভ্যস্ত – ‘কী নিয়ে পড়িস? বাংলা!’ ‘বাংলা নিয়ে কেউ পড়ে?’ ‘আর কিছু বিষয়
পাস নি?’ ‘ও তুই বাংলায় এম এ!’ ‘বাংলা একটা সাবজেক্ট হল?’ ‘যারা অন্য কিছুতে অনার্স
পায় না, তারাই বাংলা নিয়ে পড়ে!’ তাদের কথায় কান দেওয়া উচিত না। বাস্তবে দেখা গেছে,
অন্তত আমাদের অভিজ্ঞতায় - নাক উঁচু, ভুরু কোঁচকানো, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা ঐ সমস্ত সহপাঠীদের
বা অভিভাবকদের বেশিরভাগই আজ নিরেট বেকার। কেউ কেউ অবশ্য চা-পান-বিড়ি-গুটখার দোকান খুলতে
বাধ্য হয়েছে। অতীতের সেইলোকগুলোর অস্মিতার কথা আজ আমরা ভুলে যাইনি - একথা যেমন সত্য,
তেমনি আজকের দিনে প্রতিষ্ঠিত আমরা তাদের পুরানো সেই ‘ভাষণের’ কথা মনে করিয়ে ঘা দিতে
চাই না – এটাও সত্য। বাংলা নিয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের অবজ্ঞা আর তাচ্ছিল্য করার জবাব
দিতেও আমরা এই আন্তর্জাল মাধ্যমে সার্বিক সহায়তা দিয়ে জীবনে প্রতিষ্ঠা পেতে সাহায্য
করব। এটাও আমাদের একটি পবিত্র কর্তব্য বলেই মনে করি। শিক্ষা অর্জন করে ভিখারি সাজতে
যাবেন না কখনো। আপনার অর্জিত জ্ঞান আপনার ব্যক্তিত্বের বিকাশ ও প্রকাশ ঘটাবে। অর্জিত
জ্ঞানের গর্ব করা বড়াই করাও একধরনের মুর্খামি। বিজ্ঞান কত এগিয়েছে বলে যারা এতদিন চেঁচিয়েছে
তারাও আজ একটামাত্র ভাইরাসের আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে গর্তে লুকিয়ে দিন কাটাচ্ছে। বিজ্ঞান
বিজ্ঞানের জায়গায় থাকবে, ভাষা ও সাহিত্য তার জায়গায়। একে অপরকে অবহেলা অবজ্ঞা করলে
পৃথিবী অচিরেই অচলায়তনে পরিণত হবে, তাতে আর সন্দেহ কী! তাই আমাদের মনে হয়, আগে শিক্ষিত
হোন, জ্ঞানী না হলেও চলবে। ধন্যবাদ ও নিরন্তর শুভেচ্ছা।
কে সেই নারী - ভোলানাথ মাহাত
-
*ছোটগল্প : কে সেই নারী*
*লিখেছেন: ভোলানাথ মাহাত*
“আপনি ভুল করছেন, আমি মহুয়া নই।”
এক ফাগুনের ক্লান্ত ভোরে যখন কোকিল অচঞ্চল বেগে তার নিজস্বতা বজায় রেখে চলেছে...